লাল শাড়ী পরিয়ে মেয়েটাকে বিয়ে দিলাম মাত্র ১ সপ্তাহ। তারপর তালাক খেয়ে বাড়িতে চলে আসল। জামাইকে জিজ্ঞেস করলাম বাবা! ছেড়ে দিলা কেন? সে আমাকে বলল, আপনার মেয়েটা আসলে ভালো না। মাথা নিচু করে নিলাম লজ্জায়, কিছু বলতে পারলাম না বলার ভাষাও পেলাম না খুজে ।
৬মাস পর নতুন আরেক জায়গাতে বিয়ে দিলাম। জামাই অরেঞ্জ কালার শাড়ী দিয়ে বউ ঘরে তুলে নিল। ২০ দিনের মাথায় মেয়ে তালাক খেয়ে চলে আসল। জামাই বলল আপনার মেয়ে মাশাল্লাহ দেখতে সুন্দর হলেও মানুষ কিন্তু ভালো না। তাই আমার পক্ষে আর রাখা সম্ভব না।
এবার ২বছর পর এক হুজুর ঠিক করে বিয়ের আয়োজন করলাম। হুজুর জামাই গোলাপি রংয়ের শাড়ী আনল। শাড়ীর উপরে পরিধানের জন্য বোরকাও আনল। মেয়েকে উঠিয়ে নিয়ে গেল। আমার মনটা খুব উৎফুল্ল ছিল। এবার মেয়েকে পর্দার সহিত নিয়ে গেছে। সংসার আর ভাঙ্গবেনা।
একদিন বিকেলে বারান্দায় বসে চা বিস্কুট খাচ্ছিলাম । অমনি হঠাৎ করে মেয়ে কান্না করতে করতে ঘরে ঢুকে বলল- বাবা! হুজুরও আমাকে রাখতে চায় না সেও আমাকে ৩ তালাক দিয়েছে। আমাকে নিয়ে আর সংসার করবেনা।
মহরের টাকা পরিশোধ করতে হুজুর জামাই আমার বাড়িতে আসল। টাকা দিয়ে গেল আর বলে গেল- আব্বাজান! একটা কথা বলি! বললাম- বলো। সে তখন বলল:
"লাল, অরেঞ্জ, গোলাপি কালার যাই হোক না কেন শাড়ী কিংবা যতোই বোরকা পরিয়ে মেয়েকে যত মানুষের কাছেই বিয়ে দেন না কেন সেই সংসার বেশি দিন টিকবে না। কারণ বউ তো দিবেন সেই আগেরটাই। স্বভাবও তো থাকবে সেই আগের মতই। শুধু শাড়ীটা পরিবর্তন করে দিবেন। শাড়ী নয় স্বভাব বদলাতে বলেন আপনার মেয়েকে সাংসারিক জীবনও বদলে যাবে ইনশাল্লাহ।"
জামাইর কপালে একটা চুমু দিয়ে বললাম- বাবা! এতদিন পর তুমিই আসলে আমাকে সঠিক রাস্তাটা দেখিয়ে দিলে। এবার পোশাক নয় এখন থেকে মানুষ পরিবর্তনের ফিকির করবো আমি।
ফাও পেচালের শিক্ষাঃ
যে সকল পুলিশ ও প্রশাসনের স্বভাবই হল চাঁদাবাজি, ঘুষ, দুর্নীতি, জুলুম এবং হীন স্বার্থে মানুষ খুন করা সেসকল পুলিশ ও প্রশাসনের স্বভাব পরিবর্তনের জন্য কোনো উদ্যোগ না নিয়ে শুধু পোশাকের রং পরিবর্তন করার দ্বারা রাষ্ট্র পরিচালনার মত কাজে তারা বারবার অনৈতিকতা এবং অমানবিকতাই প্রকাশ করবে। সংসারের মত সমাজকে বারবার নষ্ট করবেই। তাই শুধু তাদের পোশাক নয়, আখলাক পরিবর্তনের উদ্যোগ নেয়া হোক ।
মত প্রকাশের স্বাধীন নাগরিক, বাংলাদেশ