পরিচয়:
শুরু থেকে শুরু করি ড. মোহাম্মদ ইউনুসের জন্ম ২৮ জুন ১৯৪০ সালে চট্টগ্রামের হাটহাজারীর বাধুয়া গ্রামে। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রামের একজন ছেলে সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশের নাম পৌছে দিয়েছেন।
মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা:
ড. মোহাম্মদ ইউনুস ১৯৭১ সালে আমেরিকায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠনে কাজ করেছেন।
মুক্তিযুদ্ধের পর তিনি পরিকল্পনা কমিশনের চাকরিতে যোগদান করেন। সরকারি চাকরি হওয়া সত্ত্বেও তার কাছে বোরিং মনে হয়ায় তিনি চাকরি ছেড়ে দেন এবং চট্টগ্রাম ইউনিভার্সিটিতে অর্থনীতির ল্যাকচার দেওয়া শুরু করেন।
দেশ গঠনে তার অবদান:
অর্থনৈতিক বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকার ফলে তিনি গ্রামীণ অর্থনীতির ভঙুর অবস্থার উন্নতির জন্য তিনি ছোট আকারে নানান প্রজেক্ট দিয়ে সমীক্ষা চালান।
গ্রামীণ অর্থনীতির এই ধারাকে অব্যাহত রাখতে তিনি গ্রাম পঞ্চায়েত গড়ে তুলেন যা ২০০৩ সালে সরকার স্বীকৃতি প্রদান করে। ২০০৩ সালে তার হাতে প্রায় ৪০,৩৯২ টি গ্রামে কার্যক্রম চালু হয়।
নারী কল্যাণে অগ্রনি ভূমিকা :
দেশের ৫০% মানুষ নারী। নারীদের পিছনে রেখে যতোই না আমরা আগে আসি আমরা পুরো পৃথিবী থেকে পিছিয়ে থাকবো। গ্রামীনব্যাংকের মাধ্যমে দেশের অনগ্রসর নারী হস্তশিল্প সহ খামার, পশু পালন সহ অন্যান্য নানান কাজের অর্থনৈতিক পুজি পায়।
এতে করে বাংলাদেশের একটি অংশ অর্থনৈতিক ভাবে আরও চাঙা হয়ে উঠে।
নোবেল প্রাইজের পাশাপাশি তার ঝুড়িতে আছে আরও অনেল পদক ও পুরষ্কার।
রাজনৈতিক চিন্তাভাবনা:
২০০৬ সালে নাগরিক শক্তি নামে একটি সংঘঠন গড়ে তুলেন এবং তিনি কয়েকটি সাক্ষাৎকারে বলেন বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার এবং যোগ্য নেতৃত্ব নিয়ে। এতেই বুঝা যায় তিনি বাংলাদেশের নেতৃত্ব এবং ভোটাধিকার নিয়ে চিন্তিত।
মোট ১৭২ টি মামলা ড. মোহাম্মদ ইউনুসের উপর এবং তার প্রতিষ্ঠানের নামের উপর চলমান আছে সৈরাচার হাসিনার সরকার কতৃক অন্যায় ভাবে করা। যার মধ্যে শ্রম আইন লঙ্ঘন,দুর্নীতি, মানিলর্ডারিং সহ আরও অনেক রাজনৈতিক মামলা তার উপর আরোপ করা হয়।
আমি পার্সোনালি উনার উপর রিসার্চ করে কোন নেগেটিভ ডেসক্রিপশন পেলাম না।
ভালো-মন্দ মিলিয়েই মানুষ, কোন মানুষ পার্ফেক্ট হতে পারে না তেমনি তিনিও হয়তো কোথাও না কোথাও কোন ভূল করেছেন যা খুচিয়ে খুচিয়ে বের করা ঠিক হবে বলে আমি মনে করি না।
দেশ গঠনে এবং পুন:ঘঠনে বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনবেন তিনি এটা আমি প্রত্যাশা করি।