গনতন্ত্রের মানষকন্যা থেকে সৈরাশাসক

২০০৮ সালের নির্বাচনের কথা মনে পড়ে? ২৩০ টি আসন পেয়ে আওয়ামী লীগ তখন সরকার গঠন করে। সারা বাংলাদেশের মানুষ মানুষ হাফ ছেড়ে বাছে এবার বুঝি দেশের কিছু হবে। BNP এর রাজনৈতিক ইতিহাস সবার ই জানা। জ্বালাও পোড়াও আর পেট্রোল বোমার রাজনীতি বাংলাদেশে নতুন কিছু না।

লাশের রাজনীতি করেই দেশে বেশি ভোট পাওয়া যায়। দেশের মানুষ খুব ই ইমোশনাল। তারা ইমোশনাল হয়ে চোখের পানিতেই বারবার বিশ্বাস করে ধোকা খায়।

একজনের বাবার দেশ, এক জনের স্বামীর দেশ আর জনগন সবাই পরবাসী ⛔

 ২০০৮ সালের নির্বাচন:

আমাদের দেশে শেষ এই একটা নির্বাচন ই মনে হয় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন ছিলো। মানুষের কথা বলার অধিকার হরন করলো, স্বাধীন মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করলো, সরকারের সমালোচনাকারীদের রাজাকার কিংবা জামাত শিবিরের ট্যাগ দিয়ে দেওয়া বা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এই সব কিছুই ছিলো প্রশ্নবিদ্ধ। 

২৩০ টি আসন নিয়ে ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে ও আসনে জয়ী হয় আর তখন থেকেই বাংলার রাজনীতিতে আস্তে আস্তে নেমে আসে কালো আধার।

পা চাটা প্রসাশন আর তেলবাজ নেতারা শেখ হাসিনা কে ঘিরে ধরে চারপাশ থেকে। হাসিনার সামনে তার বাবা অর্থাৎ শেখ মুজিবুর রহমানের সুনাম গুনগান গেয়ে দেশটাকে শকুনের মতো ছিড়ে খেয়ে ফেলেছে।

২০১৪ এর নির্বাচন :

২০০৮ এর পর আর কোন নির্বাচন ই হয়নি বাংলাদেশে। কেননা BNP কে পঙ্গু করে দিয়ে জাতীয় পার্টি কে সামনে রেখে শুধু সংসদের আসন ভাগাভাগি করা হয় ২০১৪ সালে। সবাই জানে যে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি তার পর ও দেশের বিক্রিত মিডিয়া আর কিছু বুদ্ধিজীবী রা বিশ্বের সামনে নাটক উপস্থাপন করে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের। 

বাংলার মানুষের ভোটের অধিকার তখন থেকেই চলে যায়। শেখ হাসিনা আরও কঠোর হতে থাকে। ক্ষমতার লোভ তাকে আরও অন্ধ করে দেয়।

২০১৮ সালের নির্বাচন:

এ নির্বাচন নিয়ে আর কি বলবো ওপেন সিক্রেট সবার ই জানা কিন্তু দেশের সুশীল সমাজ তখনও চুপ BNP আগের চেয়েও কোমড় ভাঙা অবস্থায় নির্বাচনে ২৫৭ টি আসন পায় আওয়ামী লীগ যা প্রায় ৭৪% কিন্তু মজার বিষয় হলো ৫০% এর উপর জনগণে ভোট ই দেয়নি এই নির্বাচনে।

২০২৪ সালের নির্বাচন: 

এইবার ত ভোট কেন্দ্র সহ ফাকা ছিলো তাও আওয়ামী লীগ ২২৪ টা সিট পেয়ে জয়লাভ করে প্রতিপক্ষ কেউ ছিলো না।

গনতন্ত্রের জন্য লড়াই:

২০০৭ সালে আর্মি চিফ লেফটেন্যান্ট মঈন আহমেদ এর থেকে তত্ববধায়ক সরকার ফক্কুরুদ্দিন দায়িত্ব পান। সেই আর্মি হতে তত্ত্ববধায়ক সরকার পর্যন্ত নির্মূলে আওয়ামী লীগ আগ্রনী ভূমিকা পালক করেছিলো। যার ফলে দেশের জনগন আওয়ামী লীগকে বিশ্বাস করে নেয় যে তারা গনতন্ত্র চর্চা এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

সৈরশাসক/সৈরশাসন:

ক্ষমতার লোভ আর বিরোধী দলেকে দামিয়ে রাখার প্রবল ইচ্ছে ধীরে ধীরে একনায়কতন্ত্র গঠনে বাধ্য করে। সরকারের সমালোচনাকারীদের দমিয়ে মিডিয়ায় শুধু নিজেদের গুনগান প্রচারে ব্যস্থ ছিলো।

শাসনের পতন:

বলা হয় জুলুমের বিরুদ্ধে আওয়াজ উঠবেই। নির্যাতিত জনগনের মাঝে রাগ ক্ষোভ জমতে জমতে জুলাই ২০২৪ এ সংগঠিত ছাত্র আন্দোলনের মাঝে গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়ে যায়।


হাসিনার পদত্যাগ আর দেশ ছেড়ে পলায়নের মধ্যদিয়ে দীর্ঘ ১৩ বছরের সৈরশাসনের পতন হয় আর জয়ী হয় ছাত্র জনতে।

Post a Comment

Previous Post Next Post